প্রকাশ: ০৪ জুলাই ‘২০২৫ | নিজস্ব সংবাদদাতা | একটি বাংলাদেশ অনলাইন
কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার পাচঁথুবী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খোকন মিয়াকে (৫৫) অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত এই অভিযানে শুক্রবার ভোররাতে সদর উপজেলার চাঁনপুর নাজির মসজিদ রোড এলাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানের সময় খোকনের কাছ থেকে একটি পিস্তল ও একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত খোকন মিয়া আদর্শ সদর উপজেলার পাচঁথুবী ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং মৃত ইউনুস মিয়ার ছেলে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি স্থানীয় বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে সক্রিয় ছিলেন বলে জানা গেছে। তার রাজনৈতিক পরিচয় এলাকায় পরিচিত হলেও, তার বিরুদ্ধে পূর্বে কোনো অস্ত্র মামলা বা সন্ত্রাস সংশ্লিষ্ট অভিযোগ ছিল কি না—তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিনুল ইসলাম জানান, “সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অস্ত্রসহ একজন আসামিকে গ্রেফতারের খবর জানানো হলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি বর্তমানে আমাদের হেফাজতে রয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
তবে এই ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে কিছুটা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বিএনপি নেতাদের একাংশ এই গ্রেফতারকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেও মন্তব্য করেছেন। যদিও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিয়মিত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কেউ যদি বেআইনি অস্ত্র বা সহিংস তৎপরতায় যুক্ত থাকে, তার রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খোকন মিয়ার গ্রেফতার এবং তার কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের এই ঘটনা কুমিল্লার স্থানীয় রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরসহ অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
সেনাবাহিনী ও পুলিশের এই সমন্বিত অভিযানের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টা আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট মহল। তবুও এ ঘটনার রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া আগামী দিনে কীভাবে unfold হয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়।