প্রকাশ: ০৯ই জুন’ ২০২৫ | একটি বাংলাদেশ ডেস্ক |

যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ১৩ জুন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন। কূটনৈতিক ও দলীয় সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ড. ইউনূসের যুক্তরাজ্য সফরের সময় লন্ডনের একটি হোটেলে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

ড. ইউনূস সোমবার শুরু হওয়া চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করবেন। এই সফরে তারেক রহমানের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হওয়ায় দেশের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এই বৈঠককে সৌজন্য সাক্ষাৎকার হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে, তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এতে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী জাতীয় নির্বাচন এবং গত জুলাই মাসে সংঘটিত ঘটনাবলী নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এই বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক সংস্কার, মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নিয়ে মতবিনিময় হতে পারে। যদিও সরকার ও বিএনপির মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা টানাপোড়েন দেখা গেছে, তবে এই সাক্ষাৎ দুই পক্ষের মধ্যে নতুন করে সংলাপের পথ উন্মুক্ত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা এই বৈঠককে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছেন। তাদের মতে, ড. ইউনূস আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব এবং তারেক রহমান দেশের প্রধান বিরোধী দলের নেতা হিসেবে বিবেচিত। এই দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মধ্যে আলোচনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।

এদিকে, আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ড. ইউনূসের বিদেশ সফরে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ একটি সাধারণ ঘটনা। তবে তিনি এও সতর্ক করে দেন যে, যদি এই আলোচনায় দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে প্রভাবিত করার কোনো প্রচেষ্টা দেখা যায়, তাহলে তা মেনে নেওয়া হবে না।

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারেক রহমান নিয়মিতভাবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে থাকেন। ড. ইউনূসের সঙ্গে তার এই সাক্ষাৎও সেই ধারাবাহিকতার অংশ। তবে এই বৈঠক থেকে কোনো ঘোষণা আসবে কিনা, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

ড. ইউনূসের লন্ডন সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সামাজিক ব্যবসা ও ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশগ্রহণ করা। তবে তার এই সফরে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠককে অনেকেই একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা হিসেবে দেখছেন।

একটি বাংলাদেশ অনলাইন এর খোঁজ নিয়ে জানায়, গত কয়েক মাসে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠককে অনেকেই একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।

এই সাক্ষাৎকারের পর কী ধরনের রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তা এখন সবারই লক্ষ্য। দেশের সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক মহল এই বৈঠকের ফলাফল নিয়ে সতর্ক পর্যবেক্ষণে রয়েছে।