প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৫ | নিজস্ব সংবাদদাতা | একটি বাংলাদেশ অনলাইন
ভালোবাসার মানুষের নাম হৃদয়ে যেমন গেঁথে থাকে, তেমনি মোবাইল ফোনেও সেই নাম জায়গা করে নেয় একান্ত আবেগের জায়গা থেকে। কখনও তা হয় আদরের, কখনও নির্ভরতার, আবার কখনও হয় স্মৃতির। ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত জুটি শবনম বুবলী ও শাকিব খানের সম্পর্ক যতটা রহস্যময়, ততটাই আবেগঘনও। আর সেই আবেগ ধরা পড়ল একটি ছোট্ট অথচ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে—বুবলীর ফোনে শাকিবের নাম্বার কী নামে সেভ করা?
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ঠিক এই প্রশ্নটিই করা হয়েছিল চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীকে। প্রথমে হেসে প্রশ্নটি এড়িয়ে যেতে চাইলেও শেষমেশ হাল ছাড়লেন না তিনি। পরক্ষণেই হাসিমুখে জানালেন, ‘‘শাকিব খানের নাম্বার আমার ফোনে ‘হোম’ নামে সেভ করা।’’
‘হোম’—একটি ছোট্ট শব্দ, কিন্তু এর গভীরতা অগাধ। শুধু একটি জায়গা নয়, বরং এক অনুভব, এক আশ্রয়ের নাম। এই শব্দের মাঝেই যেন লুকিয়ে আছে বুবলীর মনের অলিগলিতে জমে থাকা অনেক কথার ইঙ্গিত। শাকিব খান হয়তো শুধু একজন সহ-অভিনেতা ছিলেন না, ছিলেন তাঁর কাছে নিজের মতো হয়ে ওঠার জায়গা, নিরাপত্তার অনুভব, এক আশ্রয়।
বুবলীর উত্তর তখনই থেমে থাকেনি। আরেক প্রশ্ন আসে—শাকিব তাকে কী নামে ডাকতেন? এবারও একটি দীর্ঘশ্বাসের মতো হাসি দিয়ে উত্তর দেন, “এটা শাকিবের মুডের ওপর নির্ভর করত। বেশিরভাগ সময় সে আমাকে ‘বুবলী’ বলেই ডাকত। তবে মাঝে মাঝে আদর করে ‘লক্ষ্মী’ বলত।”
এই ‘লক্ষ্মী’ ডাক হয়তো অনেকেই শুনেননি। হয়তো সেটা শুধু ঘরের চার দেয়ালের মধ্যেই উচ্চারিত হতো—যেখানে সিনেমার আলো-ঝলমল দুনিয়া নয়, বরং ছিল নিভৃতে গড়ে ওঠা এক সম্পর্কের জগৎ।
এক সময় ঢাকাই চলচ্চিত্রে শাকিব-বুবলীর রসায়ন নিয়ে যেমন ছিলো প্রশংসা, তেমনি ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়েও ছিলো বিস্তর জল্পনা-কল্পনা। একে অপরকে নিয়ে তাঁরা কখনও প্রকাশ্যে কিছু বলেননি—আবার অনেক সময় তাদের মন্তব্যে ইঙ্গিত মিলেছে সম্পর্কের উত্থান-পতনের। মাঝে কিছু বছর এমনও গিয়েছে, যখন দু’জন ছিলেন একে অপরের ছায়ার মতো। আবার কখনও সেই ছায়া পড়ে গেছে দূরত্বের কুয়াশায়।
তবে ভালোবাসা নামক এক দুর্বোধ্য অনুভব সবসময় রয়ে যায় অদৃশ্যভাবে জীবনের নেপথ্যে। কখনও একটি ডাক, কখনও একটি সংরক্ষিত নাম—তা জানান দেয় সম্পর্কের অতীত ইতিহাস কিংবা অসমাপ্ত অধ্যায়ের ইঙ্গিত।
বুবলীর ফোনে শাকিবের নাম ‘হোম’—শুধু একটি নাম নয়, বরং তা এক সময়কার গভীর সম্পর্ক, নির্ভরতার প্রতীক, হয়তোবা এক হারিয়ে যাওয়া ঘরের স্মৃতি। এখন সেই ‘হোম’ আদৌ কি আর বুবলীর আশ্রয়? নাকি তা কেবল ফোনের কনট্যাক্ট লিস্টে বেঁচে থাকা এক অতীত—এই প্রশ্ন থেকেই যায়, একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাখ্যার জন্য।
তবে এটুকু নিশ্চিত করে বলা যায়, প্রেম এবং সম্পর্কের প্রকাশ কেবল কথায় নয়, কখনও কখনও লুকিয়ে থাকে ফোনের স্ক্রিনে লেখা একটি নামের মাঝেই। আর সেই নাম যদি হয় ‘হোম’, তাহলে তার মর্মার্থ হয়তো পুরো একটা গল্প হয়ে ওঠে—যা কখনও বলা হয় না, শুধু টের পাওয়া যায়।