প্রকাশ: ৩০শে জুন, ২০২৫ | একটি বাংলাদেশ ডেস্ক | একটি বাংলাদেশ অনলাইন
ফেনীর আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলায় পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে বিতর্ক থামেনি। এবার সেই মামলার প্রাথমিক তদন্তকাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ থাকা এক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার সাম্প্রতিক পদোন্নতি ও দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে। ওসি শাহ আলম নামের এই কর্মকর্তাকে সম্প্রতি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (পিবিআই) তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা বনজ কুমার মজুমদারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই শাহ আলম একাধিক অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অনলাইন সূত্রে পাওয়া দাবি অনুযায়ী, সে সময় শাহ আলম প্রশাসনিক সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে রাজনৈতিক আনুগত্য দেখিয়ে নিজের অবস্থান সুসংহত করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক পোস্টে দাবি করা হয়, বর্তমান সরকার পরিবর্তনের পরে শাহ আলম রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করে জামায়াত-বিএনপি সংশ্লিষ্টতার পরিচয় দিচ্ছেন এবং সেই পরিচয়ের সুবাদেই তিনি নতুন নিয়োগ পেয়েছেন। যদিও এসব অভিযোগের পক্ষে কোনো আনুষ্ঠানিক নথি বা তদন্ত রিপোর্ট এখনো প্রকাশ হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন একজন বিতর্কিত কর্মকর্তার নিয়োগ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের প্রশ্ন তোলে। পাশাপাশি এটি বিচারাধীন মামলার স্বচ্ছতা ও ভিকটিমের পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রেও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
জানা গেছে, ফেনীর ঘটনায় একটি নতুন মামলার প্রস্তুতি চলছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে—সাবেক বিচারক মামুন ও ওসি শাহ আলমকে আসামী করা হতে পারে। বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন মহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
একই সঙ্গে পুলিশ সদর দপ্তরে শাহ আলমকে ফরিদগঞ্জ থানার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ পাঠানো হয়েছে বলে একটি অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে। যদিও বিষয়টি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
এ জাতীয় স্পর্শকাতর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল পদক্ষেপ এবং স্বচ্ছ তদন্তই কেবল জনমনে আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারে বলে মনে করেন মানবাধিকার কর্মীরা।