প্রকাশ: ১লা জুলাই ২০২৫ | একটি বাংলাদেশ ডেস্ক | একটি বাংলাদেশ অনলাইন
দেশের স্বাস্থ্যখাতে দীর্ঘদিনের জনবল সংকট ও চিকিৎসা সেবার পরিধি বিস্তারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের আয়োজন করেছে। এই বিশেষ বিসিএসের প্রাথমিক (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৮ জুলাই, যা শুক্রবার পড়েছে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এটি হবে এমসিকিউ (MCQ) পদ্ধতিতে।
সরকারি কর্ম কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাসুমা আফরীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার (১ জুলাই) এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষার কেন্দ্র, হল, আসনবিন্যাস এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে পিএসসির নিজস্ব ওয়েবসাইট (www.bpsc.gov.bd) এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের নির্ধারিত ঠিকানা (http://bpsc.teletalk.com.bd)–এ।
৪৮তম এই বিশেষ বিসিএসকে ঘিরে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক আগ্রহ ও প্রস্তুতি লক্ষ্য করা গেছে। পিএসসি জানিয়েছে, এবার ৩ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের লক্ষ্য নিয়ে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে সহকারী সার্জন হিসেবে ২,৭০০ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন হিসেবে ৩০০ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে।
এর আগে, গত ২৭ মে ২০২৫ তারিখে পিএসসি থেকে এই বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয় ১ জুন, যা চলে ২৫ জুন পর্যন্ত। সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ করে দ্রুত সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে, যা বিসিএস পরীক্ষার ইতিহাসে তুলনামূলকভাবে ব্যতিক্রম ও গতি সৃষ্টিকারী উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ১৮ জুলাই প্রিলিমিনারি পরীক্ষা গ্রহণের পর ২১ জুলাই ফল প্রকাশ করা হবে। ফল ঘোষণার পরপরই মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে এবং ২২ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করবে পিএসসি।
সরকারি সূত্র বলছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ এবং চিকিৎসা খাতে জরুরি জনবল চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এই বিশেষ বিসিএসের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, এমন দ্রুত সময়ে বিজ্ঞপ্তি, পরীক্ষা ও নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার উদ্যোগ স্বাস্থ্য খাতের জন্য ইতিবাচক বার্তা বহন করবে।
বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, সময়োপযোগী এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুধু স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নেই নয়, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও বড় প্রভাব ফেলবে। তবে দ্রুত পরীক্ষার মধ্যেও মান নিয়ন্ত্রণ, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
সবশেষে বলা যায়, ৪৮তম বিশেষ বিসিএস একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদক্ষেপ, যার সফল বাস্তবায়ন স্বাস্থ্যসেবা খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারে। জনস্বার্থে এ ধরনের উদ্যোগ শুধু অব্যাহত থাকাই নয়, বরং আরও সুসংহত এবং ব্যাপকতর হওয়া দরকার—এমনটাই প্রত্যাশা সাধারণ নাগরিক ও স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থার অংশীদারদের।