প্রকাশ: ২রা জুলাই ‘ ২০২৫ । নিজস্ব প্রতিবেদক । একটি বাংলাদেশ অনলাইন
দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলছেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে এই খাতকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করে তোলা সম্ভব, যার জন্য ব্যাংকার, নীতি নির্ধারক এবং বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংককে এগিয়ে আসতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, অর্থ মন্ত্রণালয় এই খাতে সহায়তা প্রদান করে দ্রুততার সঙ্গে ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বুধবার, ২ জুলাই, ‘এসএমই ফাউন্ডেশন-ইআরএফ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, বর্তমানে এসএমই খাতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সঠিক অর্থায়নের অভাব। উদ্যোক্তারা ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে নানা ধরনের অসুবিধার মুখোমুখি হন, তবে উল্টো দিক থেকে দেখা যায়, তাদের ঋণ শোধের হার অন্যান্য খাতের তুলনায় ভালো হওয়ায় ব্যাংক ও নীতি নির্ধারকদের আরও উদার হওয়া উচিত। এই প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংককে এই ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে এবং অর্থ মন্ত্রণালয় তাদের যথাযথ সহায়তা প্রদান করবে।
এসএমই খাতের দ্রুত ডিজিটাল রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার কথা বলার পাশাপাশি তিনি বলেন, এসএমই খাতের সকল তথ্য-উপাত্তের একটি সুনির্দিষ্ট, আপডেটেড এবং পূর্ণাঙ্গ ডেটাবেজ তৈরি করা আবশ্যক। “হার্ডকপির উপর নির্ভরশীলতা বন্ধ করে দ্রুত ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। শুধু তাই নয়, এসএমই শিল্প ও বাণিজ্যে যদি ভালো ফলাফল আসে, তবে তা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে,” বলেন তিনি।
আর্থিক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে এসএমই খাতের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য ১০টি ক্যাটাগরিতে ২০ জন সাংবাদিককে সম্মানিত করেন। তিনি বলেন, “সাংবাদিকরা যখন এসএমই খাতকে এগিয়ে নিতে ইতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন, তখন তা সবার কাছে সচেতনতা বাড়ায় এবং সংশ্লিষ্টদের কর্মপরিকল্পনাকে উৎসাহিত করে।”
এসএমই খাতের প্রযুক্তি ব্যবহার বৃদ্ধির আহ্বান এবং তথ্যের ডিজিটালীকরণের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা ও অর্থায়নের সুযোগ বৃদ্ধি করা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে অর্থ উপদেষ্টা এই অনুষ্ঠানে বেশ গুরুত্বসহকারে উল্লেখ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী দিনগুলোতে এই খাতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও অন্যান্য সংস্থাগুলো একযোগে কাজ করবে যাতে দেশব্যাপী এসএমই খাত শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং এটি দেশের অর্থনীতির চাকা গতি বৃদ্ধি করে।
এসএমই ফাউন্ডেশন ও ইআরএফ-এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আগত সাংবাদিক ও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে এসএমই খাতের উন্নয়নে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা, প্রচার-প্রসার এবং তথ্য সরবরাহের গুরুত্ব বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়।
‘একটি বাংলাদেশ অনলাইন’ এ সংবাদ পরিবেশন করে আশা রাখে, দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ডিজিটাল রূপান্তর এবং অর্থায়ন ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলি দ্রুত বাস্তবায়িত হবে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও সুসংগঠিত ও সমৃদ্ধ হবে।