প্রকাশ: ২রা জুলাই, ২০২৫ | নিজস্ব সংবাদদাতা | একটি বাংলাদেশ অনলাইন
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) গবেষণা সহযোগিতা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের সম্প্রসারণের মাধ্যমে একাডেমিক পরিবেশের টেকসই উন্নয়নে এক বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করেছে। আজ বুধবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ‘Enhancing the Academic Environment to Foster Research Collaboration’ শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা সরব অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুধু পাঠ্যক্রমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এখানে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে গবেষণার মাধ্যমে নিজেদের চিন্তাশক্তি ও দক্ষতা বিকশিত করতে হবে। তিনি বলেন, “আড্ডা দিও, ভাবো – কিন্তু দিনশেষে পড়াশোনা করবে। সৃজনশীল চিন্তা আর মননশীল অধ্যবসায়ই তোমাদের সমাজের জন্য দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করবে।”
অধ্যাপক মামুন আরও বলেন, “চাকরি তোমাদের খুঁজে নেবে, যদি তোমরা যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে যাও। স্বপ্ন দেখবে, আর সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য পরিশ্রম করবে। এই ধরনের সেমিনার তোমাদের জ্ঞানগত ঘাটতি চিহ্নিত করতে সহায়ক হবে এবং তা পূরণে উৎসাহ যোগাবে।”
সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহরের অধ্যাপক ড. মো. সালেকুজ্জামান। তিনি একাডেমিক পরিবেশ উন্নয়নে গবেষণার ভূমিকা এবং তথ্যনির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে বিশদভাবে উপস্থাপনা দেন। তার স্লাইডভিত্তিক উপস্থাপনায় একাডেমিক ও প্রযুক্তিগত বিষয়াবলির সঙ্গে সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনারও বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আমজাদ হোসেন, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আমিনুর রহমান, পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. গোপাল চন্দ্র ঘোষ এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল হাসান।
সেমিনারটি সুচারুভাবে সঞ্চালনা করেন জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, “এই ধরনের একাডেমিক আয়োজন আমাদের গবেষণার পরিধিকে সম্প্রসারিত করে এবং আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছাতে সহায়ক হয়। শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে হবে যাতে তারা গবেষণার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।”
যবিপ্রবির এই উদ্যোগ প্রমাণ করে যে, তারা শুধু পাঠদান নয় বরং গবেষণার ক্ষেত্রেও এগিয়ে যেতে চায়। ভবিষ্যতে নিয়মিত এ ধরনের সেমিনারের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের গবেষণাভিত্তিক মানসিকতা গঠনের প্রত্যাশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। থিতু না থেকে নবচিন্তার উৎস সৃষ্টি করাই এখন বিশ্ববিদ্যালয়টির অন্যতম লক্ষ্য।