সর্বশেষ :
রাজনৈতিক পরিচয়ের দাপট: বনানীতে যুবদল নেতার ক্ষমতার অপব্যবহার ও হোটেল-বারে সন্ত্রাসী হামলার সম্পূর্ণ চিত্র উন্মোচিত দেশমাতৃকার মুক্তি ও বিভীষিকাময় অধ্যায়ের অবসান: ইতিহাসের মোড় ঘোরানো এক সাহসী সৈনিকের মুক্তি আড়াইহাজারে যৌথবাহিনীর অভিযান: ইয়াবাসহ দুই নারী গ্রেপ্তার, পলাতক চিহ্নিত ডিলার তাসকিন-তানজিমের গতি ঝড়ে কুপোকাত লংকান ব্যাটিং লাইনআপ ঋতুপর্ণার দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ: মিয়ানমারের মাটিতে লাল-সবুজের দৃঢ় প্রতিরোধ শ্যামনগরে রহস্যজনক অজ্ঞান পার্টির হানা: দুই বাড়িতে চুরি, হাসপাতালে ভর্তি ৬ জন গবেষণাভিত্তিক একাডেমিক পরিবেশ গঠনে যবিপ্রবিতে পরিবেশ উন্নয়ন বিষয়ক সেমিনার এক দিনের প্রধানমন্ত্রী সুরিয়া: থাই রাজনীতিতে বিরল এক অধ্যায়ের সূচনায় দিনশেষেই ইতি নতুন অর্থবছরের শুরুতেই মোংলা বন্দরে ব্যস্ততা, একদিনে ভিড়েছে ৪টি বাণিজ্যিক জাহাজ ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে সরকারিভাবে পালনের ঘোষণা: সারাদেশে সাধারণ ছুটি, প্রজ্ঞাপন জারি

আদালত অবমাননার মামলায় শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড: আইনি প্রক্রিয়া ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫
  • ৩ বার
আদালত অবমাননার মামলায় শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড: আইনি প্রক্রিয়া ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

প্রকাশ: ২রা জুলাই ২০২৫ । নিজস্ব প্রতিবেদক । একটি বাংলাদেশ অনলাইন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আদালত অবমাননার মামলায় ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। আজ বুধবার, ২ জুলাই, বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী ।

এই মামলায় অপর আসামি, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শাকিল আকন্দ বুলবুল ওরফে মো. শাকিল আলমকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মামলার পটভূমি

মামলার সূত্রপাত একটি অডিও ক্লিপকে কেন্দ্র করে, যেখানে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, “আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি”। এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অডিওটির ফরেনসিক বিশ্লেষণ করে এর সত্যতা নিশ্চিত করে ।

এই বক্তব্যকে আদালতের প্রতি অবমাননাকর হিসেবে বিবেচনা করে, চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলার শুনানিতে শেখ হাসিনা ও শাকিল আলম ট্রাইব্যুনালে হাজির না হওয়ায়, তাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরও তারা অনুপস্থিত থাকায়, আদালত অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে নিয়োগ দেন ।

আইনজীবী পরিবর্তন ও বিতর্ক

শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমিনুল গনি টিটু তার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান, কারণ তিনি পূর্বে সামাজিক মাধ্যমে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটি পোস্ট করেছিলেন, যা তার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালনে ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ সৃষ্টি করে। ট্রাইব্যুনাল তার স্থলে অ্যাডভোকেট আমির হোসেনকে নতুন আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেন ।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

এই রায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগ ও তাদের সমর্থকরা এই রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলো এই রায়কে আইনের শাসনের বিজয় হিসেবে দেখছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতামত

আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই রায় দেশের বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা ও শক্তিমত্তার প্রতীক। তারা বলছেন, আদালতের অবমাননা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, এবং এই রায় ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

উপসংহার

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ড দেশের রাজনৈতিক ও আইনি অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই রায় ভবিষ্যতে রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য ও আচরণে আরও সতর্কতা আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর

স্বত্ব © ২০২৫ একটি বাংলাদেশ | সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ সিদ্দিক ইবনে আম্বিয়া