সম্প্রতি দেশে রাজনৈতিক অঙ্গন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ও সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনকে ঘিরে নতুন এক আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন সরাসরি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে সতর্ক করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
জানা গেছে, ইলিয়াস হোসাইন সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তা ও সামাজিক মাধ্যমে পোস্টের মাধ্যমে দাবি করেন, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার কিছু বক্তব্য ও রাজনৈতিক তৎপরতা নিয়ে তিনি সত্য তথ্য তুলে ধরেছেন, যা কোনো কোনো মহল মেনে নিতে পারছে না। তিনি অভিযোগ করেন, এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে তার নামে উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার চালানো হতে পারে।
ভিডিও বার্তায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন বলেন, “আমি চাই না কাউকে নিয়ে ব্যক্তিগত কিছু বলতে। তবে কেউ যদি মিথ্যা তথ্য ছড়ায় বা আমার ও আমার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে চায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমি কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।”
তিনি আরও দাবি করেন, দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতা হিসেবে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার উচিত হবে গঠনমূলক আলোচনা ও সত্য তথ্য নিয়ে থাকতে, কোনোভাবে উদ্দেশ্যমূলক বা উস্কানিমূলক কিছু না করা।
এই বিষয়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো দেননি। তবে তার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, তিনি এই ইস্যুতে কোনো ধরনের প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়ায় যেতে ইচ্ছুক নন। এর আগে বিভিন্ন সময় নানা বিতর্কে জড়ালেও তিনি রাজনৈতিক শালীনতা বজায় রেখেছেন বলে দাবি করেন তার সমর্থকরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যক্তি পর্যায়ের বক্তব্য ও পাল্টা বক্তব্য নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হলে বা বিষয়টি আদালত পর্যন্ত না গেলে এ ধরনের বিতর্কের ইতি টানাই ভালো।
এদিকে সাংবাদিক ইলিয়াসের ভিডিও বার্তা ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ তার সতর্কবার্তাকে যথার্থ বলছেন, আবার কেউ এটিকে অযথা উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা হিসেবেও দেখছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যেকোনো অভিযোগ বা মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশের আগে যাচাই করা উচিত। অন্যথায় বিভ্রান্তি ও উত্তেজনা তৈরি হতে পারে, যা গণতান্ত্রিক পরিসর ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে আইনগত পদক্ষেপ নেয়নি। তবে উভয় পক্ষই সতর্ক অবস্থানে আছেন বলে জানা যাচ্ছে। অনেকে আশা করছেন, বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে এবং আর কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হবে না।