সর্বশেষ :
রাজনৈতিক পরিচয়ের দাপট: বনানীতে যুবদল নেতার ক্ষমতার অপব্যবহার ও হোটেল-বারে সন্ত্রাসী হামলার সম্পূর্ণ চিত্র উন্মোচিত দেশমাতৃকার মুক্তি ও বিভীষিকাময় অধ্যায়ের অবসান: ইতিহাসের মোড় ঘোরানো এক সাহসী সৈনিকের মুক্তি আড়াইহাজারে যৌথবাহিনীর অভিযান: ইয়াবাসহ দুই নারী গ্রেপ্তার, পলাতক চিহ্নিত ডিলার তাসকিন-তানজিমের গতি ঝড়ে কুপোকাত লংকান ব্যাটিং লাইনআপ ঋতুপর্ণার দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ: মিয়ানমারের মাটিতে লাল-সবুজের দৃঢ় প্রতিরোধ শ্যামনগরে রহস্যজনক অজ্ঞান পার্টির হানা: দুই বাড়িতে চুরি, হাসপাতালে ভর্তি ৬ জন গবেষণাভিত্তিক একাডেমিক পরিবেশ গঠনে যবিপ্রবিতে পরিবেশ উন্নয়ন বিষয়ক সেমিনার এক দিনের প্রধানমন্ত্রী সুরিয়া: থাই রাজনীতিতে বিরল এক অধ্যায়ের সূচনায় দিনশেষেই ইতি নতুন অর্থবছরের শুরুতেই মোংলা বন্দরে ব্যস্ততা, একদিনে ভিড়েছে ৪টি বাণিজ্যিক জাহাজ ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে সরকারিভাবে পালনের ঘোষণা: সারাদেশে সাধারণ ছুটি, প্রজ্ঞাপন জারি

জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে বিএনপির ব্যতিক্রমী আয়োজন, প্রধান অতিথি খালেদা জিয়া

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫
  • ১ বার
জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে বিএনপির ব্যতিক্রমী আয়োজন, প্রধান অতিথি খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ১লা জুলাই ২০২৫ | নিজস্ব সংবাদদাতা | একটি বাংলাদেশ অনলাইন

রাজনীতির উত্তাল সময় পেরিয়ে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ করতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আয়োজন করেছে এক ব্যতিক্রমধর্মী জাতীয় সম্মেলন, যার মূল প্রতিপাদ্য ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’। মঙ্গলবার ১ জুলাই, বিকেল ৩টায় রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। রাজনৈতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিন পর তাঁর সরাসরি উপস্থিতি এক প্রকার নতুন বার্তাই বহন করে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, এই আয়োজনে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন। তারেক রহমানের ভার্চুয়াল উপস্থিতি যেমন দলীয় নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করেছে, তেমনি তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে আগামী দিনের রাজনৈতিক রূপরেখা ও জাতীয় ঐক্য গঠনের আহ্বান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক অচলাবস্থা, গণতন্ত্রের সংকট ও নির্বাচন ব্যবস্থার দুর্বলতা নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য দেন এবং জনগণের বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “বিএনপি শুধু নয়, দেশের সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে এই মুহূর্তে এক হওয়ার সময় এসেছে।”

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তাঁর বক্তব্যে ছিল তীব্র সরকারবিরোধী সমালোচনা, অতীত আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপির ভূমিকা এবং শহীদদের স্মরণ।

আয়োজনে সবচেয়ে আবেগঘন মুহূর্ত তৈরি হয়, যখন মঞ্চে আসেন অতীত রাজনৈতিক আন্দোলনে প্রাণ হারানো শহীদ পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা তাঁদের প্রিয়জন হারানোর স্মৃতি, আন্দোলনের মূল্য এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন তুলে ধরেন। তাঁদের বক্তব্যে উপস্থিত জনতার চোখে পানি এসে যায় এবং সমবেত কণ্ঠে গর্জে ওঠে ‘গণতন্ত্র চাই’, ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত কর’ ইত্যাদি স্লোগান।

অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় পর্যায়ের নেতারা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, তরুণ ছাত্রনেতা ও প্রবাসী বিএনপি নেতৃবৃন্দ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। পুরো সম্মেলন ঘিরে বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এই অনুষ্ঠানটি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়, যেখানে অনেকে খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তনকে ‘প্রত্যক্ষ নেতৃত্বের ইঙ্গিত’ বলে অভিহিত করেছেন।

বিএনপির এই জাতীয় ঐক্যের ডাক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কতটা কার্যকর হবে, তা সময়ই বলবে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, খালেদা জিয়ার সরাসরি অংশগ্রহণ এবং তারেক রহমানের ভার্চুয়াল উপস্থিতি—দলটিকে নতুন করে সক্রিয় এবং সংগঠিত করার একটি বড় প্রয়াসের অংশ।

এটি বিএনপির ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা যেতে পারে। বর্তমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে এই আয়োজন কতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, তা নির্ভর করবে জনগণের প্রতিক্রিয়া এবং আসন্ন দিনগুলোতে দলের বাস্তব কর্মকৌশলের ওপর।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর

স্বত্ব © ২০২৫ একটি বাংলাদেশ | সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ সিদ্দিক ইবনে আম্বিয়া