সর্বশেষ :
তানজিন তিশা: ‘দুইটা বিয়ে করেছি, তিন নাম্বারের প্রস্তুতি চলছে’—গুজব নিয়ে মুখ খুললেন আলোচিত অভিনেত্রী ট্রাম্পের নতুন শুল্ক যুদ্ধ: ১২ দেশের পণ্যে সোমবার থেকে আসছে বাড়তি শুল্ক দেশের উন্নয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: ড. এনামুল হক অবৈধ সরকারের প্রলোভনে এমপি হয়েছেন সাকিব’: আমিনুল হকের কঠোর মন্তব্য নার্সদের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু ইরান সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করলেও পরিদর্শনের অনুমতি দিচ্ছে না’: ট্রাম্প পঞ্চাশেরও অধিক মানুষকে সামনে গুলিতে নিহত হতে দেখেছি” — আলী আহসান জুনায়েদ জুলাই বিপ্লবকে কটাক্ষ করে ফেসবুক পোস্ট—কনস্টেবল রনি সাময়িক বরখাস্ত আমরা দিই, নেই না”—চাঁদা বিতর্কে মুফতি ফয়জুল করিমের সোজাসাপ্টা জবাব গাজায় নিজেদের গুলিতে নিহত ৩১ সেনা: ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দুর্বল সমন্বয় প্রশ্নবিদ্ধ

আওয়ামী লীগের নিরপরাধদের বিরুদ্ধে জুলুম নয়, শৃঙ্খলিত সমাজের আহ্বান রাশেদ খানের

একটি বাংলাদেশ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫
  • ০ বার
আওয়ামী লীগের নিরপরাধদের বিরুদ্ধে জুলুম নয়, শৃঙ্খলিত সমাজের আহ্বান রাশেদ খানের

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫ । একটি বাংলাদেশ ডেস্ক । একটি বাংলাদেশ অনলাইন

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় দায়িত্বশীল ভূমিকার ডাক দিলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি সরাসরি আহ্বান জানান—রাজনীতির নামে বিশৃঙ্খলা নয়, বরং বিচার হতে হবে নিরপেক্ষভাবে, শুধু অপরাধীদের বিরুদ্ধে। নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন, সেই বিষয়ে কঠোর বার্তা দিয়েছেন তিনি।

রাশেদ খান তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, সম্প্রতি এক উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে কিছু মানুষ স্লোগান দিতে শুরু করে এবং অনুষ্ঠানস্থলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তিনি বিষয়টি কালের কণ্ঠ পত্রিকার একটি লাইভ ভিডিওতে প্রত্যক্ষ করেছেন বলে জানান।

রাশেদের ভাষায়, “আওয়ামী লীগের বিচার বা যারা আওয়ামী লীগের মধ্যে অপরাধী ছিল, তাদের বিচারের দাবি জানানো যেতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ করলেও যারা জুলুম বা অপরাধে সম্পৃক্ত নয়, তাদের সঙ্গে জুলুম করা যাবে না। তাদের পরিবার বা স্বজনদের নিরপরাধ লোকজনকে হয়রানি করা অনুচিত।”

তিনি এই ধরনের আচরণকে একটি পবিত্র সামাজিক অনুষ্ঠানকে কলুষিত করার অপচেষ্টা হিসেবেই উল্লেখ করেন। বিয়ে একটি ব্যক্তিগত ও সামাজিকভাবে মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠান—এমন আয়োজনে রাজনৈতিক স্লোগান, আতঙ্ক তৈরি কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি যে কোনো সভ্য সমাজে অগ্রহণযোগ্য, বলেন রাশেদ।

তার মতে, কারও বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ থাকলে সেই বিষয়ে দায়িত্বশীলভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করাই যথাযথ পদ্ধতি। কোনো অবস্থাতেই ‘মব’ তৈরি করে তাৎক্ষণিক প্রতিশোধ বা বিচার করার সংস্কৃতি গড়ে তোলা চলতে পারে না। তা না হলে সমাজব্যবস্থায় অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে, যা গণ-অভ্যুত্থানের সম্ভাব্য ইতিবাচক প্রভাবকেও বিপর্যস্ত করে তুলবে।

রাশেদ খান বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানের পর একটি শৃঙ্খলিত, সভ্য ও দায়িত্বশীল সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ। আর যদি সেটি করতে ব্যর্থ হই, তাহলে গণ-অভ্যুত্থানের স্বপ্নও স্বাদহীন বাস্তবতায় পরিণত হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের পরিবারের কেউ যেন বিয়ে করতে না পারে, অনুষ্ঠান করতে না পারে বা সামাজিকভাবে বাঁচতে না পারে—এমন সংস্কৃতি যদি গড়ে উঠে, তবে সেটি কখনোই একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার অংশ হতে পারে না।”

স্ট্যাটাসের শেষাংশে তিনি এই ধরনের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি মনে করেন, যারা বিয়ের অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা অনেকটাই প্রতিহত করা সম্ভব হবে।

এই বক্তব্যের মাধ্যমে রাশেদ খান একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকলেও সামাজিক স্থিতি ও মানবিক মূল্যবোধের জায়গায় সকলের দায়িত্বশীল আচরণ জরুরি। গণতন্ত্র মানে কারও মতকে দমন নয়, বরং সমানভাবে আইন ও বিচারপদ্ধতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা। রাজনৈতিক সংস্কৃতি শুধুই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার হাতিয়ার হয়ে উঠলে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা ব্যাহত হবে এবং তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পুরো দেশ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর

স্বত্ব © ২০২৫ একটি বাংলাদেশ | সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ সিদ্দিক ইবনে আম্বিয়া