প্রকাশ: ১৮ জুন, ২০২৫ । নিজস্ব সংবাদদাতা । একটি বাংলাদেশ অনলাইন
ফ্যাটি লিভার বা চর্বিযুক্ত লিভারের ঝুঁকি কমিয়ে রাখতে রাতে স্বাস্থ্যের প্রতি আমাদের মনোনিবেশ জরুরি। বিশেষত রাতের খাবারের আগে ও পরে কিছু অভ্যাস অজান্তেই এর সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তাই নিম্নলিখিত বিষয়গুলো জীবনে নিয়মিতভাবে রোধ করার প্রয়োজন রয়েছে:
রাতে দেরিতে খাবার খাওয়া ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ঘুমানোর ঠিক আগে খাওয়া না করে, অন্তত তিন ঘণ্টা শরীরকে হজমের সময় দিন। সবচেয়ে ভালো হবে, রাত্রিপূর্বে সহজপাচ্য খাদ্য গ্রহণ করা, যা বদহজম ও এসিডিটি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
জাঙ্ক ফুড বা অত্যধিক তেল-মসলাযুক্ত খাবার রাতের খাবারে রাখলে লিভারে চর্বি জমার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। তাই এমন খাবারগুলো সন্ধ্যার পর এড়িয়ে চলাই উত্তম।
রাতের পরপর ঘুমিয়ে পড়াও বিপদজনক—এই আচরণ লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। পরিমিত, নিয়মিত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুমে স্বাভাবিক হজম প্রক্রিয়া সাহায্য করে এবং ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমায়।
রাতের ভক্ষণ সম্পন্ন করে সঙ্গে সঙ্গে বিশ্রাম না নিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করলে রক্তচলাচল প্রক্রিয়া সচল থাকে এবং পর্যাপ্ত জ্বালানি খরচ হয়, যা লিভার স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।
জন্মগত ক্ষতির পাশাপাশি রাতের অ্যালকোহল সেবন ফ্যাটি লিভারের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই অ্যালকোহল গ্রহণের অভ্যাস হারিয়ে ফেলা উচিত।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দিলে তা শরীরের নানা জটিলতা ডেকে আনতে পারে। তাই দিনশেষে জীবনযাপনে একটু সচেতনতা ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্বাস্থ্যকর রাত্রীকরণ ও খাবারাভ্যাস গড়ে তুললে, আমরা যেকোনো সময় করণীয় আত্মসংযমে নিতে পারি এবং নিজের শরীর ও লিভারকে আরও সুস্থ রাখার পথে এগিয়ে যেতে পারি।