প্রকাশ: ২০ জুন, ২০২৫ । নিজস্ব সংবাদদাতা । একটি বাংলাদেশ অনলাইন
গল টেস্টের তৃতীয় দিনটি বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য ছিল নিঃসন্দেহে হতাশাজনক। দিনের বেশিরভাগ সময়েই শ্রীলংকা দলই ছয় মেরুর খেলায় আধিপত্য বিস্তার করেছিল। ব্যাটিং লাইনআপে শক্তভাবে আত্মপ্রকাশ করে তারা নিয়মিত উইকেট নিতে থাকে, ফলে বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিরোধ গড়া কঠিন হয়ে পড়ে। শ্রীলংকার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং এবং ধারাবাহিক উইকেটের কারণে তৃতীয় দিনের শেষে স্বাগতিক দলই মাঠে স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করছিল।
তবে পরের দিনের শুরুতেই বাংলাদেশ দলের তরুণ স্পিনার নাঈম হাসান গল টেস্টে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। চতুর্থ দিনের সকালে তার ঝড়ো বোলিং শ্রীলংকা দলের স্বপ্নভঙ্গ করে দেয়। নাঈমের বলগুলো ছিল ধারালো, সুসঙ্গত ও প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ। এই বোলিংয়ের ফলে শ্রীলংকা দলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উইকেট দ্রুত পতন হয় এবং ম্যাচে নতুন করে উত্তেজনা ফিরে আসে।
নাঈমের স্পিন বলিংয়ে শ্রীলংকার ব্যাটিং লাইনআপের কিছু বড় নাম আউট হন, যা বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে দিনের শুরুতে বাংলাদেশের মাটিতে এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ ফিরে আসে। তার পরিশ্রম ও দক্ষতা দলের জন্য বেশ উপযোগী ভূমিকা রাখে এবং ম্যাচের সামগ্রিক গতিপ্রকৃতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে।
শ্রীলংকার বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ের উইকেট গ্রহন বাংলাদেশের টেস্ট দলের দীর্ঘদিনের অভাবিত লক্ষ্য ছিল। ফলে নাঈমের এই বোলিং কর্মক্ষমতা দলের ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক সংকেত বহন করে। বাংলাদেশ দলের অন্যান্য খেলোয়াড়রাও এবার তাদের পারফরম্যান্স উন্নত করে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন।
এখন দেখার বিষয় হলো, নাঈমের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বোলিং বিভাগ কতটা ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারে এবং স্বাগতিক শ্রীলংকার চাপ মোকাবেলা করতে সক্ষম হয় কিনা। গল টেস্টের এই পর্যায়ে ম্যাচের ভাগ্য কতটা পাল্টানো যাবে, তা টেস্ট ক্রিকেটপ্রেমীরা অনেক আগ্রহের সঙ্গে অনুসরণ করছেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আশা করছে, এই ইতিবাচক সূচনা ধরে রেখে ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারবে এবং তাদের আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধার করবে। সেক্ষেত্রে নাঈমের এই স্পেল এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে, যা দলের সামনে নতুন আশা ও প্রত্যাশার দ্বার খুলে দিয়েছে।