সর্বশেষ :
ভারত না এলে বড় আর্থিক সংকটে পড়বে বিসিবি ভোট বিক্রি করলেই পাঁচ বছর নির্যাতনের শিকার হবেন: হাসনাত আব্দুল্লাহ সুষ্ঠু নির্বাচনেই প্রকাশ পাবে বিএনপির জনপ্রিয়তা: রিজভী চট্টগ্রামে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত তিন আবুধাবিতে বাংলাদেশি প্রবাসীর কপাল খুললো: লটারি জিতলেন ৭৫ কোটি টাকা কোচ কাবরেরার পদত্যাগ চাওয়ায় বাফুফের কমিটি থেকে বাদ শাহীন ‘আমাদের কী পাপ’: ত্রাণ আনতে গিয়ে ভাইকে হারানো গাজাবাসী শিশুর হৃদয়বিদারক আহ্বান ভাঙনের গল্পে আত্মজয়: তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ মেনে নিতে পারেননি মিথিলা মসজিদের মাইকে ঘোষণা, প্রকাশ্যে পিটিয়ে মা ও দুই সন্তানকে হত্যা: ২৪ ঘণ্টা পেরোলেও মামলা হয়নি আফগান সীমান্তে রক্তাক্ত সংঘর্ষ: ‘ভারত-সমর্থিত’ ৩০ সন্ত্রাসী নিহতের দাবি পাকিস্তানের

ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক কারখানায় ‘সাইবার হামলা’, ৬ টেরাবাইট তথ্য চুরি করল হ্যাকটিভিস্ট গ্রুপ

একটি বাংলাদেশ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫
  • ১ বার
ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক কারখানায় ‘সাইবার হামলা’, ৬ টেরাবাইট তথ্য চুরি করল হ্যাকটিভিস্ট গ্রুপ

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৫ । একটি বাংলাদেশ ডেস্ক । একটি বাংলাদেশ অনলাইন

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছে প্রতিরোধপন্থী হ্যাকটিভিস্ট সংগঠনগুলো। তাদের সর্বশেষ এক সাইবার হামলায় ইসরাইলের সামরিক সরঞ্জাম তৈরির দুটি গুরুত্বপূর্ণ কারখানার কার্যক্রম অচল হয়ে পড়ে এবং বিপুল পরিমাণ সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। খবরটি নিশ্চিত করেছে ইরানভিত্তিক তাসনিম নিউজ এজেন্সি।

প্রতিরোধপন্থী হ্যাকার সংগঠন “সাইবার সাপোর্ট ফ্রন্ট” জানায়, তারা সম্প্রতি ইসরাইলের “বি.জেড.এম.টি.” এবং “কারসো মেটাল” নামের দুটি সামরিক কারখানার অবকাঠামোতে সফলভাবে সাইবার হামলা চালিয়েছে। এই হামলার ফলে কারখানা দুটির উৎপাদন কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানদ্বয়ের সার্ভার থেকে অন্তত ৬ টেরাবাইটের বেশি গোপন ও সংবেদনশীল তথ্য চুরি করে সংগঠনটি।

সাইবার সাপোর্ট ফ্রন্ট এক বিবৃতিতে জানায়, এই হামলা ছিল তাদের পরিকল্পিত অনলাইন প্রতিরোধ যুদ্ধের অংশ। দখলদার ইসরাইলের সামরিক শক্তিকে দুর্বল করাই তাদের লক্ষ্য। তাদের মতে, যারা গণহত্যার জন্য সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করে বা তাতে সহায়তা করে, তারা প্রত্যেকেই বৈধ সাইবার হামলার লক্ষ্যবস্তু। সংগঠনটি আরও সতর্কবার্তা দিয়েছে যে, ভবিষ্যতে ইসরাইলের অন্য সামরিক ও প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও তারা আরও বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছে।

তাদের ভাষায়, “ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সহায়তায় যে সব প্রতিষ্ঠান গাজা ও পশ্চিম তীরে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালাতে অস্ত্র ও প্রযুক্তি সরবরাহ করছে, তারা সাইবার প্রতিরোধ যুদ্ধে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচিত হবে।”

তাসনিমের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের ধারাবাহিক আগ্রাসনে ব্যবহৃত অস্ত্র ও সামরিক প্রযুক্তির জোগানদাতাদের মধ্যে শুধু ইসরাইলি কারখানাই নয়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের একাধিক কোম্পানি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই নির্মমতায় অংশীদার হয়ে উঠেছে। এদের প্রযুক্তিগত ও লজিস্টিক সহায়তা ছাড়া ইসরাইলের যুদ্ধ মেশিন এত শক্তিশালী হতে পারত না বলেও মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞরা।

উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে ইসরাইলি সামরিক অবকাঠামোর ওপর একাধিক সাইবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকটি ঘটনার পেছনে ইরানভিত্তিক অথবা ফিলিস্তিনপন্থী হ্যাকটিভিস্ট গ্রুপগুলোর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের দাবি। এসব হামলার মাধ্যমে কেবল তথ্য চুরিই নয়, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন কেন্দ্র ও কমান্ড সিস্টেমও কয়েক ঘণ্টার জন্য অচল করে দেওয়া হয়েছিল।

বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরণের সাইবার আক্রমণ ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা প্রকাশ করছে। একই সঙ্গে এসব হামলা শুধু তথ্য চুরি বা প্রযুক্তিগত বিঘ্নই নয়, বরং দখলদার রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনের এক নতুন এবং ভার্চুয়াল যুদ্ধক্ষেত্র সৃষ্টি করছে।

সাইবার প্রতিরোধের এমন ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে হ্যাকটিভিস্টরা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, জবাবদিহিতাহীন যুদ্ধ ও নিপীড়নের যুগ শেষ হচ্ছে। তথ্য ও প্রযুক্তির হাত ধরে প্রতিরোধের কণ্ঠ এখন আরও শক্তিশালী হচ্ছে—যা আগামীর প্রতিরোধ আন্দোলনের অন্যতম কৌশলে পরিণত হতে চলেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর

স্বত্ব © ২০২৫ একটি বাংলাদেশ | সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ সিদ্দিক ইবনে আম্বিয়া