প্রকাশ: ২৭শে জুন’ ২০২৫ । একটি বাংলাদেশ ডেস্ক । একটি বাংলাদেশ অনলাইন
ইউক্রেন সরকার অভিযোগ করেছে, রাশিয়ার অধিকারিত অঞ্চল থেকে চুরি করে আনা গম রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে কিয়েভ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করার প্রস্তুতি নিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে একজন শীর্ষ ইউক্রেনীয় কূটনীতিক নিশ্চিত করেছেন, বাংলাদেশ পাকিস্তানের মতোই রপ্তানিকৃত এক লাখ ৫০ হাজার টন গম প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানানো হয়েছে—তবে এতে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে না ।
ইউক্রেনের দাবি, ২০১৪ সাল থেকে অধিকৃত কৃষি অঞ্চল থেকে কালোবাজারি করে ও রাশিয়ার গমের সঙ্গে মেশিয়ে অন্যান্য দেশে পাঠানো হচ্ছে লুটপাট করা গম, যার একটি অংশ বাংলাদেশে যাচ্ছে। কিয়েভের গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান এসব চালিয়ে যাচ্ছে যাতে বাংলাদেশের মতো দেশ সচেতন না হয় । তাঁদের যুক্তি, এটি একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ যা খাদ্য নিরাপত্তাকে হেয় করছে।
ইউক্রেনের ভারতের রাষ্ট্রদূত ওলেক্সান্ডার পোলিশচুক জানিয়েছেন, তারা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ও সম্ভাব্য সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানাবে। গম সরবরাহকারীদের পাশাপাশি যারা এই ‘চোরাচালান’ চালু রাখছে তাদেরও বিচার করা হতে পারে ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই অভিযোগে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি । যদিও খাদ্যমন্ত্রকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যদি গমের উৎস দখলকৃত অঞ্চলের হয় তবে বাংলাদেশ তা আমদানি থেকে বন্ধ রাখে।
বিশ্বমানের কৃষি ও বাণিজ্য নীতি বিবেচনায়, চুরি করা পণ্যের রপ্তানিতে বাধা দেওয়া একটি বিষয় যেখানে আন্তর্জাতিক সম্মিলিতভাবে কঠোর অবস্থান নেয়। ইউক্রেনের এই উদ্যোগের ফলে বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা ও বাণিজ্যে নতুন এক দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া না প্রকাশের কারণে পরিস্থিতি এখনো অনিশ্চিত ও রাজনৈতিক দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে আছে।