প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৫ । নিজস্ব সংবাদদাতা । একটি বাংলাদেশ অনলাইন
বাংলাদেশের বিনোদন জগতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া শুধুমাত্র অভিনয়ে নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তার উপস্থিতি বেশ সক্রিয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যক্তিগত বিষয়ে তার মতামত প্রকাশ ও সমালোচনা করে থাকেন তিনি, যা নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনারও শেষ থাকে না।
সম্প্রতি আবারো শবনম ফারিয়ার নামে একটি বিকৃত ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা নিয়ে আবারও তার সমালোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। ছবিটি মূলত একটি অন্য নারীর শরীরে তার মুখ বসিয়ে এডিট করা, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা রিউমার স্ক্যানারও নিশ্চিত করেছে যে, এই ছবি শবনম ফারিয়ার নিজের নয়, বরং এটি একটি মনগড়া এডিটেড ছবি।
এই বিকৃত ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সামাজিক মাধ্যমে নিজের ফেসবুক পেজে সরাসরি সে ছবি শেয়ার করে একটি ঝড়ো মন্তব্য করেছেন শবনম ফারিয়া। তিনি তার পোস্টে লিখেছেন, “ভাই এডিট করে ছবি দে, সমস্যা নাই! কিন্তু জাতের কারও দে। যার সঙ্গে গায়ের রং মেলে না, হাইট মেলে না, আবার শরীরে ট্যাটু করা, এদের ছবিতে এডিট করবি কেন?” ফারিয়া আরও যোগ করেন, তিনি যে ছবিটি শেয়ার করেছেন তার আসল মালিকের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের লিংকও ক্যাপশনে যুক্ত করেছেন, যেন সবাই বুঝতে পারেন বিষয়টির বাস্তবতা কী।
এই পোস্টের মাধ্যমে শবনম ফারিয়া স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন, বিকৃত ছবি তৈরি করে ছড়ানো যেন মানুষের ব্যক্তিত্ব ও সম্মানহানি করার একটি অসভ্য প্রক্রিয়া, যা তিনি মেনে নিতে নারাজ। এই ধরণের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার থাকবেন বলে জানান।
শেয়ার করা পোস্টে তার ভক্ত-অনুরাগীরা তাদের সমর্থন ও ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। সোনিয়া রহমান নামের এক ভক্ত লেখেন, “আপু, কিছু ফালতু লোকের এসব কাজ দেখে মন খারাপ করার কিছু নেই। যারা খারাপ, তারা এসব কাজ করবেই। যারা আপনাকে ভালোবাসে, তারা আসলেই আপনাকে ফলো করে।” অন্যদিকে, মোহাম্মদ রায়হান ইসলাম রিয়াদ মন্তব্য করেছেন, “এগুলো অনেক বড় গুনাহের কাজ। যারা এসব করছে, তারা নিজেরাই নিজের কপাল নষ্ট করছে। কেউ কখনো এসব কাজ করে বড় বা সম্মানীয় হতে পারেনা।”
শবনম ফারিয়ার এই স্পষ্ট ও সাহসী প্রতিক্রিয়া তার ভক্তদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে এবং একই সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো ভুল তথ্য ও মিথ্যা ছবি নিয়ে সচেতনতার একটি নতুন প্রেরণা তৈরি করেছে। এসব ঘটনা প্রমাণ করে, বর্তমান প্রজন্মের শিল্পী ও সামাজিক ব্যক্তিত্বরা কেবল তাদের কাজেই সীমাবদ্ধ না থেকে নিজেদের সম্মান রক্ষায় এবং সামাজিক দায়িত্ব পালনে কতটা সতর্ক ও সচেতন।
শবনম ফারিয়ার মতো অনেক শিল্পীই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মতামত প্রকাশ ও নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করার মাধ্যমে ভুল তথ্য ও গুজবের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন, যা ডিজিটাল যুগে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।