প্রকাশ: ০৯ই জুন’ ২০২৫ | একটি বাংলাদেশ ডেস্ক |
লন্ডনে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সরকারি সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ড. ইউনূস চার দিনের সরকারি সফরে সোমবার যুক্তরাজ্যে পৌঁছাবেন। এই সফরে তারেক রহমানের সঙ্গে তার আলাদা বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে, যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।
বিএনপির একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, যদিও এই সাক্ষাৎকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে সৌজন্যমূলক হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে, তবে এতে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচন, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং গত জুলাই মাসে সংঘটিত গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এছাড়াও, দুই নেতার মধ্যে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়েও মতবিনিময় হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে সরকার ও বিএনপির মধ্যে সম্পর্কে কিছুটা টানাপোড়েন দেখা গেলেও এই বৈঠকের মাধ্যমে উভয় পক্ষের মধ্যে নতুন করে সংলাপের পথ তৈরি হতে পারে। তবে এই সাক্ষাৎকে কেন্দ্র করে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে নতুন কোনো রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হবে কিনা, তা এখনও অনুমানের ঊর্ধ্বে।
এদিকে, আওয়ামী লীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ড. ইউনূসের বিদেশ সফরে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। তবে তিনি এও সতর্ক করে দেন যে, যদি এই আলোচনায় দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে প্রভাবিত করার কোনো প্রয়াস দেখা যায়, তাহলে তা মেনে নেওয়া হবে না।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারেক রহমান নিয়মিতভাবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে থাকেন। ড. ইউনূসের সঙ্গে তার এই সাক্ষাৎও সেই ধারাবাহিকতার অংশ। তবে এই বৈঠক থেকে কোনো ঘোষণা আসবে কিনা, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
ড. ইউনূসের লন্ডন সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সামাজিক ব্যবসা ও ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশগ্রহণ করা। তবে তার এই সফরে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠককে অনেকেই একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা হিসেবে দেখছেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে এই বৈঠক বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে, বিশেষ করে যদি এটি সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সংলাপের সূচনা করে। তবে এ বিষয়ে এখনই কোনো স্পষ্ট ধারণা দেওয়া সম্ভব নয়, কারণ উভয় পক্ষই এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি।
একটি বাংলাদেশ অনলাইন এর খোঁজ নিয়ে জানায়, গত কয়েক মাসে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠককে অনেকেই একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
এই সাক্ষাৎকারের পর কী ধরনের রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তা এখন সবারই লক্ষ্য। দেশের সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক মহল এই বৈঠকের ফলাফল নিয়ে সতর্ক পর্যবেক্ষণে রয়েছে।