প্রকাশ: ২০শে জুন, ২০২৫ | একটি বাংলাদেশ ডেস্ক
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ইসরাইলি হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় বসবে না তেহরান। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আইআরএনএকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই ঘোষণা দেন, যা ইসরাইল-ইরান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাঘচি বলেন, “আমেরিকান পক্ষ বারবার আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং একাধিকবার আমাদের কাছে বার্তা পাঠিয়েছে। কিন্তু আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছি, ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ না করা হলে আলোচনার টেবিলে বসার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।” তিনি আরও তীব্র ভাষায় যোগ করেন, “যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র এই আগ্রাসনের অংশীদার, তাই তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো আলোচনা হবে না।”
এই ঘোষণার পটভূমিতে গত সপ্তাহে জেনেভায় পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ইসরাইলের সঙ্গে সরাসরি সংঘাত শুরুর পর এটিই ছিল তার প্রথম আন্তর্জাতিক বৈঠক। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, এই বৈঠকে ইরান ইসরাইলি হামলা বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে জোরালো ভূমিকা আশা করছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরানের এই অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যের জটিল রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে নতুন বিতর্কের সূচনা করতে পারে। বিশেষ করে গত কয়েক দিনে ইসরাইল-ইরান সংঘাত যখন চরমে পৌঁছেছে, তখন তেহরানের এই শর্ত আরোপ আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমনে আমেরিকার ভূমিকাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এখন পর্যন্ত ইরানের এই ঘোষণার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে কূটনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে, ওয়াশিংটন ইরানের সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা রাখতে আগ্রহী হলেও ইসরাইলি হামলা বন্ধের বিষয়ে তাদের সরাসরি হস্তক্ষেপের সুযোগ সীমিত।
একটি বাংলাদেশ অনলাইন এই অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ও কূটনৈতিক অচলাবস্থা নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ অব্যাহত রাখবে। যেকোনো নতুন উন্নয়ন ঘটলে তা পাঠকদের কাছে তাৎক্ষণিকভাবে পৌঁছে দেওয়া হবে।