প্রকাশ: ২৫ জুন, ২০২৫ । নিজস্ব সংবাদদাতা । একটি বাংলাদেশ অনলাইন
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি শুরু হয়েছে কলম্বোর ঐতিহ্যবাহী সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব (এসএসসি) মাঠে। সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচটি গলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং সেখানে ফল হয়নি, অর্থাৎ ম্যাচটি ড্র হয়। ফলে এখন দুই দলই সিরিজ নিজেদের করে নিতে দ্বিতীয় ম্যাচে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি ও মনোযোগ দিয়ে মাঠে নেমেছে।
আজকের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। টসের সময় শান্ত জানান, ইনজুরির কারণে দলে নেই পেসার হাসান মাহমুদ। তার জায়গায় দীর্ঘদিন পর টেস্ট দলে ফিরেছেন ইবাদত হোসেন। ২০২৩ সালের জুন মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজের সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন ইবাদত। এরপর দীর্ঘ সময় তিনি চোটের সঙ্গে লড়াই করেছেন। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে, শারীরিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করে শেষ পর্যন্ত আবার জাতীয় টেস্ট দলে ফিরলেন এই পেসার।
এছাড়া একাদশে ফিরেছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করতে বাদ পড়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের আলী। এই পরিবর্তনগুলো দলের ভারসাম্য ও অভিজ্ঞতা বাড়াবে বলে মনে করছেন টিম ম্যানেজমেন্ট।
দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের একাদশে আছেন: অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, সাদমান ইসলাম, এনামুল হক বিজয়, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, ইবাদত হোসেন ও নাহিদ রানা।
অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কা তাদের একাদশে এনেছে একটি বড় চমক। এই ম্যাচে অভিষেক হয়েছে অলরাউন্ডার সোনাল দিনুশার। তাকে টেস্ট ক্যাপ প্রদান করেন দলের সিনিয়র ক্রিকেটার কুশল মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কা একাদশে রাখা হয়েছে দুইজন পেসার এবং দুইজন স্পিনারকে, যা থেকে স্পষ্ট যে দলটি ভারসাম্যপূর্ণ বোলিং আক্রমণ গঠনের চেষ্টা করেছে।
শ্রীলঙ্কার একাদশে রয়েছেন: পাতুম নিশাঙ্কা, লাহিরু উদারা, দিনেশ চান্দিমাল, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (অধিনায়ক), কামিন্দু মেন্ডিস, কুশল মেন্ডিস (উইকেটকিপার), সোনাল দিনুশা, থারিন্দু রত্নায়েকে, প্রবাত জয়াসুরিয়া, বিশ্ব ফার্নান্ডো ও আসিতা ফার্নান্ডো।
প্রথম ম্যাচে ফল না আসায় দ্বিতীয় ম্যাচটি হয়ে উঠেছে সিরিজ নির্ধারণী। দুই দলই চাইছে জয়ের মাধ্যমে সিরিজ নিজেদের করে নিতে। বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচটি শুধু সিরিজ জয়ের সুযোগ নয়, বরং তরুণ খেলোয়াড়দের মেধা ও দক্ষতা প্রমাণ করারও একটি বড় মঞ্চ। একইভাবে, শ্রীলঙ্কাও নিজেদের মাঠে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ জয় করতে চায়। দুই দলের সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মনোভাব ও সামর্থ্য ম্যাচটিকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।