সর্বশেষ :
ভারত না এলে বড় আর্থিক সংকটে পড়বে বিসিবি ভোট বিক্রি করলেই পাঁচ বছর নির্যাতনের শিকার হবেন: হাসনাত আব্দুল্লাহ সুষ্ঠু নির্বাচনেই প্রকাশ পাবে বিএনপির জনপ্রিয়তা: রিজভী চট্টগ্রামে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত তিন আবুধাবিতে বাংলাদেশি প্রবাসীর কপাল খুললো: লটারি জিতলেন ৭৫ কোটি টাকা কোচ কাবরেরার পদত্যাগ চাওয়ায় বাফুফের কমিটি থেকে বাদ শাহীন ‘আমাদের কী পাপ’: ত্রাণ আনতে গিয়ে ভাইকে হারানো গাজাবাসী শিশুর হৃদয়বিদারক আহ্বান ভাঙনের গল্পে আত্মজয়: তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ মেনে নিতে পারেননি মিথিলা মসজিদের মাইকে ঘোষণা, প্রকাশ্যে পিটিয়ে মা ও দুই সন্তানকে হত্যা: ২৪ ঘণ্টা পেরোলেও মামলা হয়নি আফগান সীমান্তে রক্তাক্ত সংঘর্ষ: ‘ভারত-সমর্থিত’ ৩০ সন্ত্রাসী নিহতের দাবি পাকিস্তানের

মানারাত ইউনিভার্সিটিতে প্রাণবন্ত নবীনবরণ: শিক্ষার আলোয় দীপ্ত আগামীর প্রতিশ্রুতি

একটি বাংলাদেশ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫
  • ৯ বার

প্রকাশ: ২৭শে জুন, ২০২৫ । একটি বাংলাদেশ ডেস্ক | একটি বাংলাদেশ অনলাইন

আনন্দঘন, হৃদয়গ্রাহী ও উৎসবমুখর পরিবেশে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নবাগত শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান। ২১শে জুন শনিবার আশুলিয়ার স্থায়ী ক্যাম্পাসের প্রধান মিলনায়তনে আয়োজিত এই জমকালো আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাবিদ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানটি শুধু নতুনদের স্বাগত জানানোর একটি আয়োজন নয়, বরং এক নতুন পথচলার অনুপ্রেরণার বার্তা হয়ে উঠেছিল।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমেদ খান। তাঁর যুক্তিসমৃদ্ধ ও অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের জন্য যেমন ভবিষ্যতের নির্দেশনা ছিল, তেমনি ছিল একজন নাগরিক হিসেবে সচেতন ও দায়িত্বশীল হয়ে গড়ে ওঠার আহ্বান। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুধু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য নয়, বরং নিজেকে গড়ে তোলার একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। তাই শিক্ষার্থীদের শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ না থেকে যোগাযোগ দক্ষতা, ভাষাজ্ঞান ও সফট স্কিল অর্জনের প্রতি মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অভিজ্ঞতা, সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নিজেকে উপস্থাপন করার কৌশল একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতকে আমূল বদলে দিতে পারে—এ কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

মানারাত ইউনিভার্সিটির দুই শহীদ শিক্ষার্থী শাকিল হোসেন ও আহনাফ আবির আশরাফুল্লাহর স্মরণে তিনি বলেন, “একটি জাতির প্রকৃত স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র রক্ষায় সাহসিকতা, ত্যাগ ও আত্মদান অপরিহার্য। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সে সাহসিকতার উদাহরণ রেখে গেছে, যা ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।” তিনি শহীদদের পরিবারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি প্রকাশ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুর রব সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা ভেঙে দিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে শুধু পাঠদানই নয়—নতুন জ্ঞান সৃষ্টি, গবেষণা এবং সেই জ্ঞান সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলে। তিনি জানান, দীর্ঘ সময় অপদখলে থাকার পর গত দশ মাসে বিশ্ববিদ্যালয়টি পুনরুদ্ধার করে তারা আবারও পূর্বের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘একাডেমিক অ্যান্ড মোরাল এক্সিলেন্স’-এর পথে এগিয়ে চলেছে।

তিনি আরও বলেন, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এমন এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপ নিতে চায়, যেখানে কেবল পেশাগত দক্ষতাই নয়, বরং নৈতিক মূল্যবোধ, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং মানবিক গুণাবলিতে গড়ে ওঠা নাগরিক তৈরির চেষ্টা চলবে। তাঁর কথায় স্পষ্ট ছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নতুন এক যাত্রা শুরু করার সংকল্প এবং একটি আদর্শ শিক্ষাঙ্গন নির্মাণে অবিচল অঙ্গীকার।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই নবাগত শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়, যা অনুষ্ঠানে একটি মানবিক ও স্নিগ্ধ আবহ তৈরি করে। রেজিস্ট্রার ড. মো. মোয়াজ্জম হোসেন স্বাগত বক্তব্যে বলেন, এই নবীনদের মধ্যেই ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। তাঁদের জন্য একটি সুশৃঙ্খল, নিরাপদ ও মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করাই এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রধান লক্ষ্য।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুল ও বিভাগের ডিন ও বিভাগীয় প্রধানরা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন ও সিএসই বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান, স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিকসের ডিন মো: মাহবুব আলম এবং স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিসের ডিন ড. আবু আইয়ুব মো. ইব্রাহিম। প্রত্যেকেই তাঁদের বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সততা, নিষ্ঠা ও সৃজনশীলতা জাগ্রত করার উপর গুরুত্ব দেন।

অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রফিকুল ইসলাম। পুরো আয়োজনটি ছিল একটি সংগঠিত ও পেশাদার উপস্থাপনার নিদর্শন, যা নবীনদের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে।

এই নবীনবরণ কেবল একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি একটি প্রতিজ্ঞার মুহূর্ত—ভবিষ্যতের পেশাজীবী, গবেষক ও নেতৃত্বদানকারী নাগরিক গড়ে তোলার পথে প্রথম পদক্ষেপ। মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে। একটি বাংলাদেশ অনলাইন এই মহত্ আয়োজনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে শিক্ষার্থীদের সফল ও মূল্যবোধনিষ্ঠ ভবিষ্যতের কামনা করে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর

স্বত্ব © ২০২৫ একটি বাংলাদেশ | সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ সিদ্দিক ইবনে আম্বিয়া