প্রকাশ: ১৬ জুন, ২০২৫ । নিজস্ব সংবাদদাতা । একটি বাংলাদেশ অনলাইন
ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। আজ সোমবার (১৬ জুন) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এই আদেশ দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সাকিব আল হাসান ছাড়াও যেসব ব্যক্তিদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তারা একটি সমবায়ভিত্তিক আর্থিক প্রতারণার মামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার প্রাথমিক অভিযোগের আওতায় রয়েছেন। দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা একটি অবৈধ আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যেখানে বিপুল পরিমাণ সাধারণ মানুষের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তদন্তের স্বার্থে এবং যাতে তারা দেশত্যাগ করে তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের গোপন করতে না পারেন, সে কারণেই দুদক আদালতের কাছে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করে।
আদালতের এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় যাঁরা রয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন সরকারি কর্মকর্তাসহ একাধিক ব্যক্তি, যাদের মধ্যে সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক মো. আবুল খায়ের, কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজি ফুয়াদ হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, মো. জাহেদ কামাল, মো. হুমায়ুন কবির এবং তানভির নিজাম আছেন।
সাকিব আল হাসান, যিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সুপরিচিত, তার নাম এই তালিকায় উঠে আসায় বিষয়টি জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। তবে এ বিষয়ে সাকিবের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, দুদক জানিয়েছে, তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ চলছে। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আইন অনুযায়ী তদন্তে সহযোগিতা না করলে কিংবা প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন কমিশনের কর্মকর্তারা।
এই আদেশের ফলে ১৫ জনের কেউই পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আদালতের এই পদক্ষেপকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান আইনি প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।