সর্বশেষ :
ভারত না এলে বড় আর্থিক সংকটে পড়বে বিসিবি ভোট বিক্রি করলেই পাঁচ বছর নির্যাতনের শিকার হবেন: হাসনাত আব্দুল্লাহ সুষ্ঠু নির্বাচনেই প্রকাশ পাবে বিএনপির জনপ্রিয়তা: রিজভী চট্টগ্রামে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত তিন আবুধাবিতে বাংলাদেশি প্রবাসীর কপাল খুললো: লটারি জিতলেন ৭৫ কোটি টাকা কোচ কাবরেরার পদত্যাগ চাওয়ায় বাফুফের কমিটি থেকে বাদ শাহীন ‘আমাদের কী পাপ’: ত্রাণ আনতে গিয়ে ভাইকে হারানো গাজাবাসী শিশুর হৃদয়বিদারক আহ্বান ভাঙনের গল্পে আত্মজয়: তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ মেনে নিতে পারেননি মিথিলা মসজিদের মাইকে ঘোষণা, প্রকাশ্যে পিটিয়ে মা ও দুই সন্তানকে হত্যা: ২৪ ঘণ্টা পেরোলেও মামলা হয়নি আফগান সীমান্তে রক্তাক্ত সংঘর্ষ: ‘ভারত-সমর্থিত’ ৩০ সন্ত্রাসী নিহতের দাবি পাকিস্তানের

তিন প্রাক্তন সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ উঠেছে

একটি বাংলাদেশ অনলাইন
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫
  • ৫ বার
তিন প্রাক্তন সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ উঠেছে

প্রকাশ: ২৬ জুন, ২০২৫ । নিজস্ব সংবাদদাতা । একটি বাংলাদেশ অনলাইন

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) মোট ২০ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নতুন অভিযোগ গঠন। এই অভিযোগ সংক্রান্ত মামলাটি আরও গভীর রূপ লাভ করে যখন ঢাকার শেরেবাংলানগর থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শামসুজ্জোহা সরকার গতকাল বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালতে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১২০ (ক), ৪২০ এবং ৪০৬ ধারায় অভিযোগ সংযুক্ত করার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, গত ২২ জুন বিএনপি একটি মামলা দায়ের করে, যেখানে অভিযোগ করা হয়, পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশন সংবিধান অনুযায়ী তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করে উল্টো ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন পরিচালনা করেছে।

বিএনপির দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের তৎকালীন সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় সাবেক পাঁচজন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) — হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এই মামলায় শুরুতে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উল্লেখ করা হয়নি। পরবর্তীতে আদালতের অনুমতি নিয়ে অভিযোগগুলোর পরিসর বাড়ানো হয়।

মামলায় বিস্তৃতভাবে অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের তিনটি জাতীয় নির্বাচনের সময় সারাদেশজুড়ে “গায়েবি মামলা”, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অপহরণ, গুম, খুন ও নির্যাতনের মাধ্যমে ভয়ভীতি ছড়িয়ে নির্বাচন থেকে বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের সমর্থকদের দূরে রাখা হয়। অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কমিশনাররা তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়ে তা লঙ্ঘন করেছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি উপেক্ষা করে এবং সরকারি পদে থেকেও অবৈধভাবে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে তারা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছেন। এসব নির্বাচনে ভোটারদের ভোট না পেয়েও সংসদ সদস্যদের মিথ্যা ও অবৈধভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে, যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

ঘটনার সাক্ষী হিসেবে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের ভোটারদের, বিশেষত যেসব ভোটার ভোটদানে বঞ্চিত হয়েছেন। এ ছাড়া ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা, সৎ প্রিজাইডিং অফিসাররা, সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যরা এবং স্থানীয় জনগণ এই ঘটনার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সাক্ষী বলে দাবি করা হয়েছে। মামলায় আরও বলা হয়, নির্বাচনে ব্যবহৃত ব্যালটপেপারে থাকা সিল ও স্বাক্ষরের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃত সত্য উদঘাটন সম্ভব হবে এবং তদন্তে স্পষ্ট হবে, ওই ভোটগুলো আদৌ বৈধ ছিল কিনা।

এই মামলার বিস্তৃতি ও বিষয়বস্তু ইঙ্গিত দেয় যে, নির্বাচন সংক্রান্ত দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক এবং বিচারিক অঙ্গনে বড় ধরনের আলোচনার সূত্রপাত হতে যাচ্ছে। এটি কেবলমাত্র নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা নয়, বরং সামগ্রিকভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সুষ্ঠুতা নিয়েও বড় প্রশ্ন তুলে ধরছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর

স্বত্ব © ২০২৫ একটি বাংলাদেশ | সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ সিদ্দিক ইবনে আম্বিয়া