প্রকাশ: ১৬ই জুন’ ২০২৫ । নিজস্ব সংবাদদাতা । একটি বাংলাদেশ অনলাইন
ইরানের ইসফাহান থেকে হাজার দ্বিসোহর পেরিয়ে ইজরায়েলের আকাশে প্রবেশ করেছিল শক্তিশালী ব্যালিস্টিক মিসাইল। তবে এটি এক শান্ত যাত্রা ছিল না—সারারাস্তায় ছিল পৃথিবীর অন্যতম পরিপাটি ও দৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা, একটি অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা কাঠামো, যা ইরানের মিসিলে সম্ভাব্য ট্রাজেডি তৈরি করে দিয়েছেন।
মিসাইলের প্রথম বাধার নাম হলো ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সেনাঘাঁটির প্রহরীবলয়, যেখানে প্যাট্রিয়ট ও THAAD সিস্টেম মোতায়েন ছিল আন্তর্জাতিক আলোচনার অংশ হিসেবে । এর পরিগ্রহণ পুত্র হিসেবে এগিয়ে এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আকাশ, যেখানে ফ্রান্সের রাফায়েল-ভিত্তিক যুদ্ধবিমান মোতায়েন ছিল—সৌদি আরবের সহযোগিতায় । উপসাগর পেরিয়ে মার্কিনন্ট্রাল জাহাজ “USS Carle Vinson” তার ঝাঁজে ছিল ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে, ক্ষেপণাস্ত্রকে আলোড়িত করতে প্রস্তুত।
এই বলয়কে অতিক্রম করে পরের অবতরণ হয় জর্ডানে—মধ্যপশ্চিমে অবস্থিত মার্কিন-জর্ডান যৌথ সেনা ঘাঁটিতে—and where Israel’s David’s Sling and F-35 class kit await । প্রায় ২০০০ কিমি পাড়ি দিয়ে, তারপর আসে অভিজাত ইজরায়েলের অনেক স্তরবিশিষ্ট ‘অ্যারো-3’, “ডেভিড স্লিং” এবং সর্বশেষের সর্বশেষ বিভাগ—‘Iron Dome’—জার্ডার মধ্যে ৪০ কিমি থেকে মাত্র ৪ কিমি উচ্চতায় ও ক্ষেপণাস্ত্র এসেছে দিকে তাকিয়ে ।
সব বাধা অতিক্রম করে সফলভাবে গন্তব্যে এসে পৌঁছেছে ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি এই ব্যালিস্টিক মিসাইল, যা এক ধরনের ‘কৌশলগত প্রাপ্তি’ রূপে চিহ্নিত। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলেন, “ইরান শুধুমাত্র তুলনামূলক দূরত্বের নয়—এদেরগুলো অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা প্রাচীর ভেঙে প্রবেশ করেছে, যা বহু সময় মনে করা হচ্ছিল ‘অদ্ভুত অবিকৃত’।”
এই ঘটনার দু’টি দিক রয়েছে—প্রথমত, এটি দলের প্রতি আত্মবিশ্বাস, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও অপারেটিং পারফরম্যান্সের এক বহিঃপ্রকাশ। দ্বিতীয়ত, এটি বিশ্ববাস্তবের একটি সতর্কবার্তা: সর্বোত্তম প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষ তাল না দিয়ে ‘ব্রেকথ্রু’ করতে পারে—যা ভূরাজনীতিতে নতুন হিসেব সাজিয়ে দেয়।
সত্যি বলতে, আজকের বৈশ্বিক যুদ্ধ কেবল ‘সীমান্ত’ কিংবা ‘জলসীমা’ ঘেঁষে সীমাবদ্ধ নেই—এখন যুদ্ধ আর্থ-সামরিক, কূটনৈতিক, প্রযুক্তিগত, তথ্য-গুপ্তচর ও অর্থনৈতিক যুদ্ধে পরিবর্তিত। আর যখন দূর দূর থেকে এক মিনিটে আয়রন ডোম-সহ স্তর বিপর্যয় সৃষ্টিকারী প্রতিরক্ষা ভেঙে যায়, তখন প্রশ্ন রয়ে যায়—‘পরবর্তীতে কী নতুন পন্থা, কোন সম্ভাবনা, না হয় চিরকালই সতর্ক থাকার ও প্রস্তুতির এক নতুন যুগ?’