প্রকাশ: ১৮ই জুন, ২০২৫ । একটি বাংলাদেশ ডেস্ক । একটি বাংলাদেশ অনলাইন
যুক্তরাজ্যে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার কমে এসেছে ৩.৪ শতাংশে, যা বিগত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ONS) জানিয়েছে, এটি ব্রিটিশ অর্থনীতির জন্য একটি আশার আলো দেখালেও, ভোক্তাদের জন্য স্বস্তির খবর নয়। কারণ, খাদ্যপণ্যের দাম এখনও ঊর্ধ্বমুখী এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ চরম চাপে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জ্বালানি এবং পরিবহন ব্যয়ের হ্রাসের কারণে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে। তবে বাজারে দুধ, ডিম, পনির, রুটি, ফলমূল এবং মাংসজাত পণ্যের মূল্য আগের তুলনায় অনেক বেশি, যা নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য বিশেষ উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে।
একটি অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, যদিও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সুদহার বৃদ্ধির নীতি মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়ক হচ্ছে, তবে খাদ্যপণ্যে চলমান মূল্যবৃদ্ধি তা অনেকটা ভারসাম্যহীন করে তুলছে।
চ্যান্সেলর অব এক্সচেকার বলেছেন, “মূল্যস্ফীতির হার হ্রাস পাওয়া অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক, তবে আমরা জানি জনগণের দৈনন্দিন ব্যয়ে এখনো চাপ রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, সরকার খাদ্য নিরাপত্তা এবং বাজার স্থিতিশীলতার বিষয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামী মাসগুলোতে সুদের হার কমানোর চিন্তা করতে পারে, তবে সেটি অনেকাংশে নির্ভর করবে খাদ্যপণ্যের দামে স্বস্তি আসার ওপর।
উপসংহারে বলা যায়, সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে কিছুটা স্বস্তি দেখা গেলেও খাদ্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলছে। সরকার ও নীতিনির্ধারকদের এখন এদিকেই বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।