সর্বশেষ :
ভারত না এলে বড় আর্থিক সংকটে পড়বে বিসিবি ভোট বিক্রি করলেই পাঁচ বছর নির্যাতনের শিকার হবেন: হাসনাত আব্দুল্লাহ সুষ্ঠু নির্বাচনেই প্রকাশ পাবে বিএনপির জনপ্রিয়তা: রিজভী চট্টগ্রামে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত তিন আবুধাবিতে বাংলাদেশি প্রবাসীর কপাল খুললো: লটারি জিতলেন ৭৫ কোটি টাকা কোচ কাবরেরার পদত্যাগ চাওয়ায় বাফুফের কমিটি থেকে বাদ শাহীন ‘আমাদের কী পাপ’: ত্রাণ আনতে গিয়ে ভাইকে হারানো গাজাবাসী শিশুর হৃদয়বিদারক আহ্বান ভাঙনের গল্পে আত্মজয়: তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ মেনে নিতে পারেননি মিথিলা মসজিদের মাইকে ঘোষণা, প্রকাশ্যে পিটিয়ে মা ও দুই সন্তানকে হত্যা: ২৪ ঘণ্টা পেরোলেও মামলা হয়নি আফগান সীমান্তে রক্তাক্ত সংঘর্ষ: ‘ভারত-সমর্থিত’ ৩০ সন্ত্রাসী নিহতের দাবি পাকিস্তানের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব ঘিরে জেনেভায় কূটনৈতিক তৎপরতা

একটি বাংলাদেশ অনলাইন
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫
  • ৭ বার
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব ঘিরে জেনেভায় কূটনৈতিক তৎপরতা

প্রকাশ: ২০ জুন, ২০২৫ । নিজস্ব সংবাদদাতা । একটি বাংলাদেশ অনলাইন

জেনেভায় ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরিস্থিতি ঘিরে কূটনৈতিক আলোচনার নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি আলোচনার দরজা খোলা রাখতে চান এবং তাঁর মতে, বর্তমান উত্তেজনার একমাত্র সমাধান হতে পারে আলোচনা। ট্রাম্পের এ বক্তব্যকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে ইউরোপীয় মন্ত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। সেখানে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির সঙ্গে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পরিকল্পনা তুলে ধরা হবে বলে জানা গেছে।

বিবিসির প্রধান আন্তর্জাতিক সংবাদদাতা লাইস ডুসেট জানিয়েছেন, জেনেভার আলোচনায় অংশগ্রহণকারী ইউরোপীয় কূটনীতিকরা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের পাঠানো বার্তা পৌঁছে দেবেন। মার্কিন বার্তা অনুযায়ী, কূটনৈতিক সমাধান না হলে পুরো প্রক্রিয়াটি “শূন্যে গিয়ে ঠেকবে” বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

মূল আলোচ্য বিষয়ের একটি হলো—ইরান যেন তার পারমাণবিক কর্মসূচি একেবারেই বন্ধ করে। এমনকি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজ যাতে শুধুমাত্র একটি আঞ্চলিক কনসোর্টিয়ামের আওতায় হয়, সেটিও প্রস্তাবিত হয়েছে। এ প্রস্তাব গ্রহণ করলে ইরানকে নিজ দেশে এসব কার্যক্রম চালানো বন্ধ করতে হবে।

ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খাতিবজাদেহ বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, যখন ইরান একটি চুক্তির কাছাকাছি ছিল, তখনই ইসরায়েল সামরিক আগ্রাসন শুরু করে। তাঁর মতে, এই আগ্রাসনের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল কূটনৈতিক আলোচনাকে ব্যাহত করা।

খাতিবজাদেহ বলেন, “যখন এই আগ্রাসন বন্ধ হবে, তখনই কূটনৈতিক পথ হবে আমাদের প্রথম পছন্দ।” এই অবস্থানেই অনড় তেহরান এবং আজকের আলোচনায় সেটিই তাদের মূল দাবি হিসেবে উপস্থাপিত হবে। আলোচনার মাধ্যমে সংঘর্ষ থামানোর পথ খুঁজে বের করাই এখন উভয় পক্ষের লক্ষ্য।

এখন দেখা যাচ্ছে, দীর্ঘদিনের উত্তেজনা ও সংঘর্ষের পর এবার দুই পক্ষ আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হয়েছে। এতে ইঙ্গিত মিলছে, হয়তো অচলাবস্থার সমাধানে একটি নতুন কূটনৈতিক পথ উন্মুক্ত হতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর

স্বত্ব © ২০২৫ একটি বাংলাদেশ | সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ সিদ্দিক ইবনে আম্বিয়া