প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৫ | একটি বাংলাদেশ ডেস্ক | একটি বাংলাদেশ অনলাইন
আধুনিক প্রযুক্তির আর্থিক সেবায় বাংলাদেশে যোগ হলো এক অনন্য অধ্যায়। বিশ্বের প্রথম বায়োমেট্রিক মেটাল ক্রেডিট কার্ডের যাত্রা শুরু হলো ঢাকার মাটি থেকে। ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল) এবং আন্তর্জাতিক অর্থপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাস্টারকার্ডের যৌথ উদ্যোগে এই অভাবনীয় প্রযুক্তিনির্ভর কার্ড উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার, ৫ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে নতুন এই কার্ড উন্মোচন করেন অর্থনীতি বিশ্লেষক ও গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। ইবিএলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়াংসিক, নরওয়ের চার্জ দ্যঁ অ্যাফেয়ার্স ফ্রেডরিক কার্লসরাড, ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আলী রেজা ইফতেখার এবং মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মো. কামাল।
এই বিশেষ কার্ডটি তৈরি ও বাস্তবায়নে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে আইডেক্স বায়োমেট্রিক্স, কনা আই ও ইনফিনিয়ন টেকনোলজিস—তিনটি বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। কার্ডটিতে সংযোজিত হয়েছে সর্বাধুনিক বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন সিস্টেম, যা গ্রাহকের আঙুলের ছাপ যাচাই করে লেনদেন নিশ্চিত করে। একই সঙ্গে কার্ডটি ধাতব উপাদানে তৈরি হওয়ায় এর বাহ্যিক নকশা এবং স্থায়িত্বে এসেছে ব্যতিক্রমী গুণমান। এই দুইয়ের সমন্বয়েই এটি হয়ে উঠেছে এক প্রিমিয়াম, নিরাপদ ও বিলাসবহুল আর্থিক মাধ্যম।
ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আলী রেজা ইফতেখার বলেন, “বাংলাদেশ থেকে এমন একটি বৈশ্বিক উদ্ভাবনের সূচনা করতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। ইবিএল সবসময় প্রযুক্তি-ভিত্তিক ব্যাংকিংয়ে অগ্রণী ভূমিকা রেখে এসেছে। এই কার্ড তারই একটি নিদর্শন।”
মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল একে “নিরাপত্তা ও নান্দনিকতার এক অনবদ্য সমন্বয়” বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “বিশ্বের প্রথম বায়োমেট্রিক মেটাল কার্ড বাংলাদেশ থেকেই যাত্রা শুরু করেছে—এটা শুধু আমাদের দেশের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের ফিনটেক অগ্রগতির জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্ত।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কার্ডের মাধ্যমে শুধু প্রযুক্তি ব্যবহারে নয়, নিরাপত্তা ও গ্রাহক অভিজ্ঞতায়ও বাংলাদেশ একটি বৈপ্লবিক ধাপে পা রেখেছে। এটি দেশের ব্যাংকিং খাতকে বিশ্বমানে উন্নীত করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আর্থিক পরিসরে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করবে।
এ ধরনের প্রযুক্তিনির্ভর ও প্রিমিয়াম আর্থিক সেবার প্রসারে ইবিএলের এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতের ব্যাংকিং ধারণাকেই বদলে দিতে পারে বলে মনে করছেন আর্থিক খাত সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে এটি বাংলাদেশকে ডিজিটাল ব্যাংকিং ও ফিনান্সিয়াল ইনোভেশনে এক নতুন পরিচয়ের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে।