সর্বশেষ :
হামাসের শক্তি পুনর্গঠন: গাজায় যোদ্ধার সংখ্যা ফের ৪০ হাজারে, ইসরাইলি জেনারেলের মন্তব্যে উত্তাল রাজনৈতিক অঙ্গন ধানমন্ডি হত্যায় আলোড়ন: হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালনার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা রাফাল যুদ্ধবিমানের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক অপপ্রচার: চীনের বিরুদ্ধে ফরাসি গোয়েন্দা সংস্থার অভিযোগ টেকসই পর্যটনের ভাবনায় কক্সবাজারে প্রথম ট্যুরিজম আর্কিটেকচার সামিট প্লট দুর্নীতির ৬ মামলায় গেজেট প্রকাশ: হাইকমান্ডে হাসিনা-রেহানা ও ১০০ আসামিকে আদালতে তলব জনপ্রতিনিধিত্বের পথে এনসিপি: নির্বাচনী মাঠে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিশ্বের প্রথম বায়োমেট্রিক মেটাল ক্রেডিট কার্ডের সূচনা বাংলাদেশে: যুগান্তকারী পদক্ষেপ ইবিএল ও মাস্টারকার্ডের পাঠ্যপুস্তকে নির্ভুলতা আনতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ: শিক্ষকদের কাছে চাওয়া হয়েছে লিখিত সুপারিশ এআইয়ের ফাঁদে বিভ্রান্তি: ডা. তাসনিম জারার ভাইরাল ছবি নিয়ে যা সত্য লুটপাটের প্রতিচ্ছবি: ‘জুলাই প্রিলিউড’ পোস্টারে আওয়ামী আমলের দুর্নীতি চিত্রায়িত

পাঠ্যপুস্তকে নির্ভুলতা আনতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ: শিক্ষকদের কাছে চাওয়া হয়েছে লিখিত সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫
  • ০ বার
পাঠ্যপুস্তকে নির্ভুলতা আনতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ: শিক্ষকদের কাছে চাওয়া হয়েছে লিখিত সুপারিশ

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৫ | নিজস্ব প্রতিবেদক | একটি বাংলাদেশ অনলাইন

দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তকসমূহকে আরও নির্ভুল, আধুনিক ও শিক্ষার্থীবান্ধব করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে থাকা যেকোনো ভুল, অসংগতি ও পরিমার্জনের প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করতে এবার সরাসরি শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তাদের মতামত ও সুপারিশ চাওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, নির্ধারিত ছক ও নির্দেশনার আলোকে প্রতিটি বিষয় পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের সুপারিশ প্রেরণ করতে হবে। এই সুপারিশ পাঠানোর শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী সোমবার, ৭ জুলাই। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা হার্ডকপির পাশাপাশি সফটকপিতে (নিকোশ বিয়ানের ১২ ফন্ট ব্যবহার করে) ই-মেইলের (govt.sec2@moedu.gov.bd) মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা অফিস আদেশ অনুযায়ী, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ইসলাম শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম, কৃষিশিক্ষা, গার্হস্থ্যবিজ্ঞান ও শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক পাঠ্যপুস্তকসমূহের মধ্যে যেসব বিষয় সংশোধন বা পরিমার্জনের দাবি রাখে, সেগুলো চিহ্নিত করে পাঠাতে হবে।

সংশোধনের সুপারিশে অধ্যায়, পৃষ্ঠা, লাইনের নির্দিষ্ট তথ্য, মূল লেখার ধরণ এবং প্রস্তাবিত সংশোধিত রূপ বিস্তারিতভাবে যুক্তিসহ উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া, পরিমার্জনের ক্ষেত্রে ২০১২ সালের জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুসারে সংশ্লিষ্ট শিখনফলের প্রতি লক্ষ্য রেখে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রস্তাবিত পাঠ্যপুস্তকের খসড়া পর্যালোচনার পরামর্শও এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, পাঠ্যবইয়ে যদি জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বা পেশাগত বৈষম্যের কোনো শব্দ, বাক্য, চিত্র বা তথ্য থাকে, তাহলে সেগুলো সুস্পষ্টভাবে চিহ্নিত করে যথাযথ সংশোধনের প্রস্তাব দিতে হবে। একইসঙ্গে, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িকতা, দেশপ্রেম, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ কিংবা জাতীয় চেতনার পরিপন্থী কোনো উপাদান থাকলেও তা সংশোধনের জন্য উপস্থাপন করতে হবে।

তথ্যসূত্র যাচাই করে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে হালনাগাদ তথ্য অন্তর্ভুক্ত করার ওপরও জোর দেয়া হয়েছে। বানান সংশোধনের ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমি প্রণীত বানান অভিধান অনুসরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাঠ্যবইয়ের মূল কাঠামো অপরিবর্তিত রেখে শুধুমাত্র ভুল সংশোধনের পরামর্শই গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে বলে নির্দেশনায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ছক অনুযায়ী দেওয়া সুপারিশ ছাড়াও যদি কারও বিশেষ কোনো মতামত বা পরামর্শ থাকে, তবে তা স্বতন্ত্র কাগজে নাম ও স্বাক্ষরসহ সফট কপিতে জমা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অনেক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও গবেষক। তাদের মতে, এমন সময়োপযোগী পদক্ষেপ শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চিন্তাচেতনা ও মূল্যবোধ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর

স্বত্ব © ২০২৫ একটি বাংলাদেশ | সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ সিদ্দিক ইবনে আম্বিয়া