প্রকাশ: ০৭ জুলাই ‘২০২৫ | একটি বাংলাদেশ ডেস্ক | একটি বাংলাদেশ অনলাইন
বঙ্গোপসাগর ও তার আশেপাশে নতুনভাবে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা ইতোমধ্যে দেশের উপকূলবর্তী এলাকায় তীব্র প্রভাব ছড়াতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর মতো কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরেও ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই পরিস্থিতির কারণে দেশের সাতটি জেলা—খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার—সোমবারের মধ্যে ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ ঝড়ো হাওয়ার সম্মুখীন হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত প্রদানের পাশাপাশি বাসযান ও নৌ চলাচলে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উদ্দেশ্য অনুযায়ী, আজ দুপুর ১টার মধ্যে উপকূলীয় ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা থাকবে। আবহাওয়াবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছেন যে, মৌসুমি বায়ুটির সক্রিয় অবস্থা বজায় থাকায় আকাশে মেঘলা পরিবেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিসহ বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ।
যদিও লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তবুও উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়বিহীন হলেও ঝোড়ো বাতাস এবং ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়ার সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে, পরবর্তী ৪–৫ দিন ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা দেখা দিতে পারে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ বর্তমানে সক্রিয় থাকায় সারাদেশে বৃষ্টিপাত টানা থাকবে, যা সমুদ্রসীমায় সর্তকতা ও প্রচুর পানিবন্দী এলাকায় অস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে